কাজী নজরুল ইসলাম,চাঁদপুর ::
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দূর্ভোগ চরমে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৩৩৫ জন। সরকারের নির্ধারিত বোর্ড ফি অত্যান্ত কম হওয়ায় আমাদের পোষায় না এ প্রতিনিধিকে বললেন, ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছায়েদ।
এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত টাকা নিতে হয় প্রাতিষ্ঠানিক বকেয়া সহ আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য। স্কুলে ফরম ফিলাপ পূরণের সময় আমাদের শিক্ষক সহ অন্যান্য কর্মচারীদের পারিশ্রমিক দিতে হয়। অতিরিক্ত ফি আদায়ে ২ হাজার ৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করেছেন ওই অধ্যক্ষ আবু ছায়েদ।
সরকারি ফরম ফিলাপ পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে নন এমপিওভূক্ত কর্মচারী সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করতে হয়। বিদ্যালয়টিতে ১২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তাদের মধ্যে ৬ জন এমপিওভূক্ত বাকি ৬ জন নন এমপিওভূক্ত। ছাত্রদের এই বেতন ভাতা থেকেই তাদের ভাতা দিয়ে থাকি।
সচেতন নাগরিকরা জানান, সরকারের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করেই ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছায়েদ। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পরীক্ষার ফরম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোন প্রতিষ্ঠানই অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যবস্থা নেই। ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি আমি অবগত নই। এখন আমি জেনেছি এবং বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’