১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জের প্রখ্যাত হোমিও ডাক্তার নারায়ণ চক্রবর্তীর... তাহেরপুরের তিনশত বছরের বৃক্ষের নাম আজো অজানা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের বিকল্প নেই : ইউএনও... প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসান সহ নিহিত-২ আহত-৩

সহজে ভেঙে পড়েন না জাহানারা

  সমকালনিউজ২৪

এক সময়ে তিনি ক্রিকেট খেলাটাই বুঝতেন না। খুলনার স্কুলে ভলিবল আর হ্যান্ড বল খেলতেন। সেই মেয়ে এখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বড় তারকা। গতকাল ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে জাহানারা আলমের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।

এই সাক্ষাৎকারে একটি প্রশ্নের জবাবে জাহানারা বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যায়। আমি সহজে ভেঙে পড়ি না।’ প্রশ্নটি ছিল এমন, আপনার নাম আর বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার হাসিবুল হোসেন শান্তর নাম এক বন্ধনীতে। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে জেতার জন্য ১ বলে ১ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের।

শান্ত জিতিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে প্রায় একই চিত্রনাট্য। ভারতের বিরুদ্ধে শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ২ রান। এই অবস্থায় স্নায়ু ঠিক রেখে দেশকে জেতালেন কীভাবে? উত্তরে জাহানারা আলম বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যায়। আমি সহজে ভেঙে পড়ি না।

দারুণ কঠিন পরিস্থিতিতে আমার নার্ভ শান্তই থাকে। বাংলাদেশের বহু কঠিন ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আমিই এগিয়ে গিয়েছি। বোলিংয়ের সময়েও কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে বল করতে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময়ে মিড উইকেট, লং অন- এ সব জায়গায় আমাকে ফিল্ডিংয়ের জন্য দাঁড় করানো হয়। ওই সব অঞ্চলে অনেক ক্যাচ আসে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এশিয়া কাপের সময়ে আমাদের কোচ ছিলেন দেবিকা পালশিকার আর অঞ্জু জৈন। কঠিন পরিস্থিতিতে ওঁরা আমাকে নামতে বলেন।

সে দিনের ওই ম্যাচে খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও আমি পজিটিভ ছিলাম। আমার মাথায় ছিল, কিছু একটা করতে হবেই। দেবিকা-অঞ্জু ম্যাম আমাকে দৌঁড়ে রান নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন।

দুই উইকেটের মধ্যে আমি খুব দ্রুত দৌঁড়তে পারি। এমনকি মারার দরকার পড়লে আমাকে মারতে হবে, এটা ভেবেই আমাকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল।’

জাহানারা বলেন, ‘ঠিক এক বলে দুই রান যখন দরকার, তখন কোচের নির্দেশ নিয়ে দ্বাদশ ব্যক্তি এসে আমাকে বলল, ব্যাটে বল লাগাতেই হবে। ক্যাপ্টেনকে (সালমা খাতুন) বললাম, ব্যাটে বলে ঠিকই ইমপ্যাক্ট হবে। আপনি দুই রানের জন্য দৌঁড়াবেন। সেই মুহূর্তে আমি একটুও ভয় পাইনি।

অনেক রকমের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি মনে মনে স্থির করে ফেলেছিলাম, ডাইভ দিয়ে আমাকে ক্রিজে ঢুকতে হবে। কারণ আমি দুই রানের জন্য দৌঁড়াব। সেই মতোই হরমনপ্রীতের বলটা মিড অনে মেরে মরিয়া হয়ে দৌঁড়াই।’

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
খেলাধুলা বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে