৪০টি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী আব্দুল আলিম। কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এসব গরু। এই ৪০টি গরুর মধ্যে গতকাল বিকাল পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র একটি। তিনি জানান, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদে তিনি গাবতলীর হাটে গরু নিয়ে আসেন। প্রতিবছরই ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে গরু বিক্রি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার ক্রেতাদের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন শনিবার (আজ) থেকে পুরোদমে ক্রেতা আসবে এবং বিক্রি হবে।
গাবতলীতে এসেছে ‘পাগলু’
পাগলুর পাশের সারিতেই ‘রাজা-বাদশা’ নামের চারটি গরু ফরিদপুর সদর থেকে নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মো. আরিফ। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে দেখা যায় রাজা-বাদশার মাথার ওপর ফ্যান লাগানো হচ্ছে। জানতে চাইলে ব্যাপারী আরিফ জানান, প্রচণ্ড গরমে রাজা-বাদশার কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে ফ্যান লাগানো হচ্ছে। তিনি জানান, আট লাখ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন রাজা-বাদশা। কিন্তু গতকাল বিকাল পর্যন্ত কোনো ক্রেতা রাজা-বাদশার দাম করেনি।
এদিকে গাবতলীর হাটে আসা লাখ লাখ টাকা দামের গরুর ক্রেতা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাল ব্যাপারীরা। রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে বিশালাকৃতির ‘পাগলু’ নামের গরু নিয়ে এসেছেন আজমল ব্যাপারী। তিনি জানালেন, গরুটির দাম ২৫ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত সাংবাদিক ছাড়া ক্রেতারা এই গরুর দাম জিজ্ঞেস করেনি।
ব্যাপারীরা আশা করেছিলেন গতকাল সকাল থেকে ক্রেতাদের ধুম পড়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে সে চিত্র দেখা যায়নি। কিছু ক্রেতা আসছে, তারা মাঝারি আকারের গরু কিনছে। মাঝারি আকারের এই গরুগুলো ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হাসিল কাটার মঞ্চে থাকা রাইটার মিনহাজ শাহিন জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে গাবতলীর হাটে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিক্রি বেড়েছে। সময় যত গড়াবে বিক্রিও বাড়বে। গাবতলী হাটে মহিষ বিক্রি হতেও দেখা গেছে। ৯২ হাজার টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে নিতে দেখা গেছে এক ক্রেতাকে।