১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
পুঠিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক ৩ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত... চাঁদপুরে লঞ্চ থেকে ১৬ কেজি গাজা সহ মাদক কারবারি আটক দুর্গাপুরে মাদক সেবনের দায়ে ৬ তরুণের জেল-জরিমানা পাইকগাছায় সরকারি জায়গায় পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ, উপজেলা...

সাপাহারে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরণে সমন্বিত খামার স্থাপন

 গোলাপ খন্দকার সাপাহার,নওগাঁ : সমকালনিউজ২৪

নওগাঁর সাপাহারে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণে সমন্বিত খামার স্থাপন করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় একটি বৃহৎ ছাগলের খামার স্থাপন করেছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন।

দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরণ ও চিন্তা ভাবনার ফসল হিসেবে তিনি ৭একর সম্পত্তির উপর তার এই বৃহৎ আকারে ছাগল ও বাংলাদেশী দুম্বা/গাড়লের খামার স্থাপন করেছেন। সাংবাদিকের অত্যাধুনিক খামারটি হচ্ছে সাপাহার উপজেলা সদর হতে পোরশা রাস্তায় মাত্র ৪কিলোমিটার দূরে বাসুল ডাঙ্গা মোড়ের অদুরে খোদ্রনালী মৌজায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে।

তিন বছর পূর্বে তিনি ওই সম্পত্তির উপর আম, কলা, লিচু নারিকেল বাগান তৈরী করেছিলেন বর্তমানে সেখানেই তিনি তার বাগানের মধ্যে স্থাপন করেছেন খামারটি। তার খামার ও বাগানে রয়েছে বহু প্রজাতীর আমগাছ, জামগাছ, লিচুগাছ, ভিয়েতনামীয় নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং খামারে রয়েছে তোতাপুরী, রাম, বায়ার, ব্লাকব্যাঙ্গল সহ দেশী প্রজাতির নানা ধরনের ছাগল ও বাংলাদেশী দুম্বা বা গাড়ল। বিভিন্ন প্রজাতির ১০০ছাগল ও ১০০গাড়ল দিয়ে তিনি তার খামারটির যাত্রা শুরু করেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে।

এছাড়া তার বাগান ও খামারের সাথে রয়েছে বৃহত আকারের একটি পুকুর সেখানেও মিশ্র পদ্ধতিতে চলছে মাছ চাষ এবং হাসের চাষ। সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন তার সাংবাদিক পেশার পাশা পাশি বেকার সমস্যা দূরীকরণে বহু দিন ধরে চিন্তা ভাবনা করছিলেন নওগাঁ জেলায় তিনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন। অবশেষে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১৯সালে তার চিন্তার ফসল বাগান চাষের সাথে সাথে একটি লাভজনক খামার স্থাপন করেছেন। বর্তমানে তার বাগান ও খামারটি দেখাশুনার জন্য ৩জন কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন।

তছলিম উদ্দীনের চিন্তাভাবনা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে কাজ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক বেকারের বেকার সমস্যা দূর হবে। ওই খামারে অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ফলে সেখানে কাজ করে যেমন কিছু মানুষের সমস্যা দূর হবে আবার সেখান থেকে উপার্জনকৃত অর্থ দিয়ে তার অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটবে। বর্তমানে এলাকায় অসংখ্য বেকার ছেলে রয়েছে, সকলেই সোনার হরিণ নামক চাকুরীর পিছনে ছুটছেন। তার মতে শিক্ষিত যুবকেরা এই পেশায় এগিয়ে এলে যেমন বেকার সমস্যা দুর হবে তেমনই দেশে মাংসের চাহিদা পুরন ও একটু হলেও দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে।

এছাড়া এলাকার অনেক লোকের আত্মকর্মসংস্থানের পথও সুগম হবে। নিজের কাজ নিজ হাতে করার আনন্দই আলাদা তাই আনন্দ চিত্তে দেশের বেকার যুবকরা এই পেশায় এগিয়ে এসে বেকার সমস্যাকে অনেকাংশে দূর করতে পারেন বলে তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
নওগাঁ বিভাগের সর্বশেষ
নওগাঁ বিভাগের আলোচিত
ওপরে