বাকবিতণ্ডা শুরু হয় যখন সাংবাদিক সম্মেলনে সিএনএন সাংবাদিক অ্যাকোস্টার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন৷ তিনি পর পর প্রশ্ন করতে থাকেন আমেরিকার বর্ডারে আসতে থাকা তাঁদের ক্যারাভ্যান সম্পর্কে৷ প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে যান ট্রাম্প৷ বলেন “যথেষ্ট হয়েছে৷” এরপরই হোয়াইট হাউসের এক ইন্টার্ন সিএনএনের সাংবাদিক অ্যাকোস্টার মাইক্রোফোনটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেন৷ যদিও ব্যর্থ হয়ে আবার গিয়ে বসে পড়েন৷
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারর্স জানান “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেস স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, চান এবং তাঁর ও প্রশাসন ওপর করা শক্ত প্রশ্নকেও স্বাগত জানান৷ কিন্তু আমরা কখনই এটা বরদাস্ত করবোনা যেখানে একজন হোয়াইট হাউসের ইন্টার্ন তরুণী তাঁর কাজ করতে যান ও এক সাংবাদিক তাঁর উপর হাত তোলেন৷ এটা কখনই মেনে নেওয়া যায়না৷”
কিন্তু ঘটনার ভিডিও বলছে অন্য কথা। ভিডিও দেখা যায়, ঐ সংবাদিকের মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেয়ার জন্য যে এসেছিল সেই নারী তিনবার চেষ্টা করেও না পেরে বসে পড়েন। তাকে কোন রকম লাঞ্ছনা করাই হয়নি।
এই বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে টুইটার দুনিয়া৷ অনেকেই নিজেদের মন্তব্য টুইট করতে থাকেন৷ অনেকেই এই ঘটনাকে নক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন৷ অনেকেই ওই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন সাংবাদিক এমন কোনও আচরণ করেনননি৷
এরপরই সাংবাদিক অ্যাকোস্টা টুইট করে বলেন “পুরো বিষয়টি মিথ্যা”৷ সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত থাকা আরও অনেক সাংবাদিক অ্যাকোস্টাকে সমর্থন করেন৷ এরপর CNN তার সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে “সেক্রেটারি স্যান্ডারস মিথ্যা বলছেন৷ CNN এও জানায় প্রাস পাস সাসপেন্ড করার কারণ হল “চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের প্রতিশোধ”৷