২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

সিলেটে বেতের তৈরি আসবাবপত্র রপ্তানী হচ্ছে বিদেশে।

 সুমন ইসলাম সমকালনিউজ২৪

৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভ‚মি “সিলেট”। এ নামটির সাথে জড়িয়ে সিলেটিদের আলাদা কৃষ্টি কালচার। রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির একটি হচ্ছে ‘বেত শিল্প’। সিলেটের অতিত ইতিহাস ও ঐতিহ্যর ধারক-বাহক অনেক কিছুই যুক্ত এ শিল্পে। গেল কয়েক বছর থেকে এ শিল্পটি দেশের মানুষের হৃদয় জয় করে রপ্তানী হচ্ছে বিদেশেও। বেত দিয়ে আধুনিক ডিজাইন ও দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক কারুকাজে নির্মিত আসবাবপত্র। এ সকল আসবাবপত্র উন্নত, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ফলে এ শিল্পের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ায় দেশের অর্থনীতিতে দিচ্ছে সম্ভাবনার হাতছানি।

 

সিলেট একসময় বেতের জন্য বিখ্যাত ছিলো। ১৮৮৫ সালে প্রথম বেতের ম্যানুফেকচার তৈরি হয় সিলেটে। ১৯২৬ সাল পর্যন্ত সিলেটের বনাঞ্চলে প্রচুর বেত পাওয়া যেত। যদিও পরবর্তীতে সিলেট অঞ্চলে বেতের উৎপাদন কমতে থাকে। বর্তমানে উৎপাদিত বেতে চাহিদা প‚রণ না হওয়ায় বিদেশ থেকেও বেত আমদানি করা হচ্ছে। ফলে কর্পোরেট কোম্পানী ও বিনোয়োগের কাছে হিমশিম খেতে হচ্ছে বেত শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের। তাই বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারী পদক্ষেপ ও আর্থিক ঋণের দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ি।

 

সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা এলাকা বেত শিল্পের আসবাবপত্র তৈরির জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে বেতের আসবাবপত্র ও ফার্নিচারের কাজে অনেক লোকের কর্মসংস্থান তৈরী হয়েছে। শৈল্পিক কারুকাজ ও দৃষ্টি নন্দন নিপুন হাতে বেতের আসবাবপত্র ও ফার্নিচার তৈরীর কাজে ব্যস্ত দৃশ্য দেখে মন যে কারো মন জোড়াবে। মনে হবে যেন এ এক অদৃশ্য হাতের নিপুন তৈরি অপরূপ সিলেটের ঐতিহ্যর সংস্কৃতি। যা বেত শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ি ও শ্রমিকরা ফুটিয়ে তুলেছেন অপরুপ ভঙ্গিমায়।

 

সূত্র জানায়, প্রায় ২০/২৫ বছর পূর্বে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প, বিসিক এর উদ্দ্যোগে সিলেট নগরীর ঘাসিটুলায় বেতশিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এই শিল্পের প্রসারে ভ‚মিকা রাখছেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এগিয়েছে সিলেটের বেত শিল্প। আগে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি বেতের আসবাবপত্র ও ফার্নিচারের দোকান ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে দ্বীগুণ হয়েছে। নগরীর শাহজালাল মাজার গেইট, জিন্দাবাজার, ওসমানী মেডিকেল এর পার্শ্বে নবাব রোড এ রয়েছে বেতের আসবাবপত্র ও ফার্নিচারের দোকান। এসব দোকানের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য বেতের তৈরী ম্যাগাজিন র‌্যাক, টেলিফোন চেয়ার, সোফা সেট, বেড সেট, স্যুজ র‌্যাক, ট্রলি, টেবিল, চেয়ার, ফোল্ডিং চেয়ার, কর্ণার সোফা, ইজি চেয়ার, ডায়নিং চেয়ার, বেবী কট ও নবাব সেট সহ রকমারি ফার্নিচার বিক্রয় এবং প্রদর্শন করা হয়। এসকল আসবাবপত্র তৈরি হয় নগরীর ঘাসিটুলা বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে। এতে বহুলোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বেতের আসবাবপত্রের চাহিদার সিংহভাগই সিলেট থেকে যোগান দেওয়া হয়। একসময় ছিল শুধু বাসা-বাড়ীতে বেতের আসবাবপত্রের ব্যবহার। বর্তমানে বাসা-বাড়ী সহ অফিস, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট সহ সবজায়গায়ই ব্যবহার উপযোগী, চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করা হচ্ছে বেতের আসবাবপত্র ও ফার্নিচার। দেশের অভ্যান্তরিন চাহিদা পুরণ করে সিলেট এর বেতশিল্প আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

 

বেতের তৈরি আসবাবপত্র বিক্রয়কারী এ.বি.কেইন.রতন ফার্নিচার এর পরিচালক অলিউর রহমান সাজন জানান, বর্তমানে বেত শিল্পের বাহারি নিত্য নতুন ডিজাইন মানুষের নজর কেড়েছে, সম্ভাবনাময় এই শিল্পের বিভিন্ন উন্নয়ন মেলায় সরকারী উদ্দ্যোগে প্রদর্শনির মাধ্যমে আরোও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বড় ধরনের বিনোয়োগ করলে এ-শিল্পের মুনাফা যেমন রয়েছে তেমনী অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি সরকারের দৃষ্টি কামনা করে এই শিল্পের জন্য সরকার দীর্ঘ মেয়াদী ই.এস.এফ লোনের মাধ্যমে এই শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে বর্তমানে বেতের যোগান কম থাকায় এবং বিভিন্ন বন উজার হওয়ায় যেখানে বেত চাষ হত বেত কাঁচা মালের অধিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষথেকে চা-বাগানের পার্শ্বে সরকারী উদ্দ্যোগ নিয়ে বেত চাষ করলে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসাবে বেত শিল্প বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে বেত শিল্প এগিয়ে গেলেও মাঝে মধ্যে বেত সরবরাহ করতে রাস্তায় বন বিভাগ কর্তৃক হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। এছাড়াও বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানী বিনোয়োগের কাছে হিমশিম খেতে হচ্ছে বেত শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের। তবে সকল উদ্দ্যোগতাদের দাবী সরকার এই শিল্পের প্রতি নজর দিলে দেশ-বিদেশে সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। বতে শল্পিরে ব্যাবসায় জরতি উজ্জ্বল কইেন র্ফানচিার এর পরচিালক , উজ্জ্বল আহমদে জানান, প্রতদিনি সলিটে এবং সলিটেরে বাহরিে থকেে আসা র্পযটকরাও বতেরে আসবাবপত্র ক্রনোর জন্য আমাদরে এখানে আসনে, ইদানীং ব্যাপক চাহদিা বড়েছেে বতে এর র্ফানচিার ও আসবাদপত্ররে।

 

বেত শিল্প ফ্যাক্টরীর মালিক জিলাল উদ্দিন জানান, এ-শিল্পের সাথে জড়িত হয়ে বর্তমানে ঘাসিটুলা এলাকায় একটি ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছেন। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে বহু লোকের কর্মসংস্থান তিনি জানান ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প আমাদের রক্তের সাথে মিশে রয়েছে। বর্তমান যোগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা তৈরী করছি আধুনিক রকমারির ফার্নিচার। বর্তমানে কাচাঁ মালের মূল্য ও দ্রব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ফার্নিচার তৈরী করে আয়-ব্যয় হিসাব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
সিলেট বিভাগের সর্বশেষ
সিলেট বিভাগের আলোচিত
ওপরে