মোঃ রাজু রায়হান,বরগুনা থেকে ::-
বরগুনায় স্ত্রী মর্যাদা না দেওয়ায় স্বামীর বাড়িতে গত ৫ দিন যাবত কাবিননামা নিয়ে অনশন করছেন এক সন্তানের জননী রোকসানা নামের এক মহিলা। বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নং ফুল ঢলুয়া ইউনিয়নের খাকবুনিয়া গ্রামে। শাশুড়ি তাকে মেনে না নেওয়ায় সে বর্তমানে অবস্থান করছেন ঘরের বারান্দায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে দুলাল হাওলাদারের বাড়িতে কাবিননামা হাতে নিয়ে উঠেছে রোকসানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়ভোগ কদমতলা গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের মেয়ে রোকসানা তিনি এর আগে খাকবুনিয়া গ্রামের ওয়াজেদ পহলানের ছেলে রিপনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সেখানে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন শিশুরটির বয়স ১০ বছর। রিপন বালির জাহাজে চাকরি করায় দূর সম্পর্কের ভাতিজা জাহিদুলের দোকানে নিয়মিত বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতো রিপন, সেই টাকা রোকসান তুলার জন্যে জাহিদের দোকানে যাওয়া আসার মাধ্যমে জাহিদুলের সাথে রোকসানার গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক তিন বছর আগে জাহিদুল ও রোকসানা দুজনেই পালিয়ে ঢাকা যায় এবং দুই লাখ টাকা কাবিন দিয়ে রোকসানাকে বিয়ে করেন জাহিদুল। ঢাকায় কিছুদিন থাকার পরে রোকসানাকে তার বোনের বাসায় রেখে জাহিদুল সৌদি আরবে চলে যায়।
রোকসানা বলেন দুলাল হাওলাদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম তিন বছর আগে আমাকে ২ লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে বিবাহ করে, আমার বোনের বাসায় ঢাকায় রেখে আমার কাছে থেকে আরো দেড় লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। জাহিদুল প্রতিমাসে আমাকে সৌদি আরব থেকে টাকা পাঠাতো কিছুদিন যাবত আমার কোনো খোঁজখবর না নেয়ায় আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে চলে এসেছি। আমার শাশুড়ি আমাকে তাড়িয়ে দিতে চায় আমি জোর করে বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছি। আমি তাদের পুত্রবধূর মর্যাদা চাই। তা না হলে আমি আ’ত্মহ’ত্যা করব। ঘটনা শোনার পরে বরগুনা সদর থানার এসআই খলিল ঘটনাস্থলে এসে রোকসানা কে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন অন্যথায় তাকে থানায় এসে মা’মলা দিতে বলে, পুলিশ চলে যায়। রোকসানা বলেন জাহিদুল আমার স্বামী এবং দুই লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে আমাকে বিবাহ করেছেন আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।
এ ব্যাপারে ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল টিটু বলেন আমি এই ঘটনা শুনেছি এবং ওই বাড়িতে গ্রামপুলিশ পাঠিয়েছি। এবং জাহিদুল এর সাথে ফোনে আমি কথা বলেছি জাহিদুল এই বিবাহের কথা স্বীকার করেছে। জাহিদুলের বাবা-মা রোকসানা কে মেনে নিতে চাচ্ছেন না। মেয়েটিও বাড়ি থেকে চলে যেতে চাচ্ছেনা, সেক্ষেত্রে দেখি আমরা স্থানীয়রা বসে মীমাংসা করতে পারি কিনা।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’