২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

৬০ শতাংশ গভীর নলকূপ অচল, বরগুনা পৌরসভায় সুপেয় খাবার পানির সংকট

 মোঃআসাদুজ্জামান,বরগুনাঃ সমকালনিউজ২৪

বরগুনা পৌরসভার ৬০ শতাংশ গভীর নলকূপ অচল হয়ে পড়ায় শহরে সুপেয় খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ৬৫৭ টি টিউবওয়েল মধ্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ টিউবওয়েল অকার্যকর হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জলবায়ু প্রভাব ও ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় জেলা বরগুনার নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এরফলে বরগুনা পৌরসভার প্রায় ৬০% গভীর নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

বরগুনা পৌরসভার ওয়াটার সুপার সাইফুল ইসলাম শিপন জানান, বরগুনা শহরবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে পৌর এলাকায় ৬৫৭টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০০টি নলকূপ মাটির ৮০০ ফিট ও ২০০ টি ৯০০ ফিট গভীরে স্থাপন করা হয়েছিলো। এগুলো এখন অকার্যকর হয়ে আছে। প্রায় ১৫৭ টি নলকূপ মাটির ৯৫০ ফিট গভীরে স্থাপন করা হয়েছিলো; যা এখনও সচল আছে।

পঁয়ষট্টি হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত বরগুনা পৌরসভায় বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা পূরণের জন্য মোট ২০০০ গভীর নলকূপ প্রয়োজন। যা বর্তমানে স্থাপিত নলকূপের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। গত দুই বছরে বরগুনা পৌরসভায় নতুন ২০ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে আরও ৮০০ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে জানান পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল-আমিন।

সামনের শুল্ক মৌসুমে পৌরসভার মানুষের খাবার পানি তীব্র সংকট হতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা আরও বলেন, পৌরসভার মানুষের খাবার পানির স্থায়ী সমাধানের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উৎসের উপর চাপ কমিয়ে সারফেস ওয়াটার প্রক্রিয়াজাত করে সরবরাহ করার উপর জোর দেন।

পৌরসভায় বাড়ির নারীরাই মুলত পরিবারের খাবার পানি সংগ্রহ করে এবং যে কটি গভীর নলকূপ সচল আছে তা থেকে পানি সংগ্রহ করতে তাদের অনেক ক্ষন অপেক্ষা করে এবং অনেক দূর হেটে সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জনান, ৩ নং ওয়ার্ডের একজন নারী বাসিন্দা।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
বরগুনা বিভাগের আলোচিত
ওপরে