৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
বকশীগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা... সিলেটে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক... চাঁদপুরে আ.লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বরগুনার পাথরঘাটায় বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থীসহ আহত ৪ সাবেক এমপি জ্যাকব গুলশান থেকে আটক

কেনো হয় মাথা ঘোরা রোগ, প্রতিকারের উপায় জানুন

  সমকালনিউজ২৪

কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঝিমঝিম করছে, উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যাচ্ছে, ভাবছেন হয়তো কোনো কারণে প্রেশার লো হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকের অনুভূতি হয় যে তিনি নিজেই ঘুরছেন। আবার কারো মনে হয়, চারপাশের সবকিছু ভনভন করে ঘুরছে। এমনটা কেনো হচ্ছে খুঁজে পাচ্ছেন না।

মূলত, মাথা ঘোরা কিংবা মাথা ঝিমঝিম করাকে ভার্টিগো বলা হয়। যদিও এই ভার্টিগো কোনো মেডিকেল অবস্থা নয়। বরং বলা চলে, কোনো রোগের উপসর্গ হতে পারে। কিন্তু রোগ ছাড়া যদি আপনি ক্রমাগত মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করার সম্মুখীন হন, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রকৃতপক্ষে, অর্থোস্ট্যাটিক এবং পোস্টুরাল হাইপোটেনশনের কারণে হঠাৎ ভার্টিগো হতে পারে যা নিম্ন রক্তচাপের একটি লক্ষণ। এটি কখনও কখনও আপনার হঠাৎ দাঁড়ানো বা গতির পরিবর্তনের কারণে ঘটতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সেকেন্ডের বেশি মাথা ঘোরা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। ভার্টিগো যে কোনো মানুষের হতে পারে, তবে এটি ৬৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে খুবই সাধারণ। কারণ, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রক্তনালিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। দুর্বল রক্তনালি মানে আপনার মস্তিষ্কের কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না এবং এই অবস্থা মাথা ঘোরা এবং ব্ল্যাক আউট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘোরার কয়েকটি কারণ মিলিয়ে নিন, সেই সঙ্গে কোনো পরিস্থিতিতে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত সেটাও জেনে নিন-

যদিও সাধারণ মাথা ঘোরা এবং ভার্টিগোর মধ্যে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। ভার্টিগো হলো এমন এক ধরনের মাথা ঘোরা যেখানে মনে হয় যে স্থির থাকা সত্ত্বেও চারপাশের পরিবেশ যেন ঘুরছে। অন্যদিকে, মাথা ঘুরলে শরীরের ভারসাম্যহীনতা বোধ হয়।

এই অবস্থার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো, হালকা মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, কানে শুনতে সমস্যা, নড়াচড়া করার সময় দেখতে অসুবিধা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। ভার্টিগোর সমস্যা মানসিক চাপের কারণেও দেখা দিতে পারে।

স্ট্রেস এবং ভার্টিগোর সরাসরি সংযোগ নেই তবে স্ট্রেস ভার্টিগোর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। স্ট্রেস ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কর্মহীনতায় একটি ভূমিকা পালন করতে পারে এবং ভেস্টিবুলার সিস্টেমের যে কোনো ক্ষতি মাথা ঘোরার দিকে পরিচালিত করতে পারে। অর্থাৎ সরাসরি না হলেও স্ট্রেস ভার্টিগোকে ট্রিগার করে।

আসলে আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন উচ্চ পরিমাণে নি:সরণ হতে থাকে। এই হরমোন ভেস্টিবুলার সিস্টেম থেকে মস্তিষ্কে নিউরাল তথ্য প্রেরণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই হরমোনগুলি তখন মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিশনের ওপর বাধা সৃষ্টি করতে পারে যার কারণে মাথা ঘোরা অনুভব হয়।

অন্যদিকে, মানসিক চাপের কারণে হিস্টামিন এবং নিউরোস্টেরয়েডগুলিও নি:সরণ হয়। এগুলোও একইভাবে নিউরোট্রান্সমিশনকে প্রভাবিত করে যা মাথা ঘোরার জন্য দায়ী।

যদি স্ট্রেস আপনার জন্য ভার্টিগোর কারণ হয়ে থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি গান শুনতে পারেন, ধ্যান করুন। যোগব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমতে পারে।

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন মানসিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা মনোবিদের সঙ্গে কথা বললেও আপনি সাহায্য পেতে পারেন।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
ওপরে