২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
দলমত নির্বিশেষে আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে... যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে... নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ১ জঙ্গি সহ গ্রেফতার ১৮৪ সিলেট বিভাগে ২৮টি মামলা, ২০ হাজার মানুষ আসামী বরগুনায় নাশকতার মামলায় ৪০ জন গ্রেফতার

চারঘাটে নদীতে চর জেগে উঠায় কৃষিতে সেচ ও খাবার পানির তীব্র সংকট

 মোঃ সজিব ইসলাম,চারঘাট সমকালনিউজ২৪

রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদীর ৬০ ভাগ এলাকা শুকিয়ে বিশাল চর জেগেছে। আর ৪০ ভাগে পানি থাকলেও তিন ভাগে প্রবাহিত হওয়ায় কাজে আসছে না। নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত একটানা সাত মাস পদ্মা নদীর এমন অবস্থা গত ১৫ বছর ধরে হয়ে আসছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

এতে করে শুল্ক মৌসুমে পদ্মা ও বড়াল মরা নদীতে পরিণত হয়।এর বিরুপ প্রভাব পড়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে এ সময়ে সেচ ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন জানান,খরায় বিশুদ্ধ পানির জন্য বসানো নলকুপ গুলোতে পানি উঠে কম।এছাড়াও কোন কোন নলকুপে পানি উঠে না।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মেরামাতপুর গ্রামের কৃষক আবু সায়েম বলেন, সেচ কাজের গভীর নলকুপে কম পানি উঠায় সময়মত ফসলের জমিতে সেচের পানি দেয়া যায়না।ফলে ফসলের উৎপাদন কম হচ্ছে। অক্টোবরের পর থেকে এ অঞ্চলে বোরো,গম ও ভুট্রার চাষ করে কৃষকরা। এই তিন ফসলে সেচ বেশি প্রয়োজন হয়। কিন্ত প্রয়োজনের তুলনায় ফসলের সেচ দেয়া যাচ্ছে না ।

উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন,আগে ১০ ফিট নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত এখন ৫০ ফিটের বেশি গভীরে গিয়ে পানির স্তর পাওয়া গেলেও তেমন পানি উঠে না।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব পড়ায় শুল্ক মৌসুমে পদ্মা নদীতে চর জেগে উঠছে এবং পানি কমে যাচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বরেন্দ্র অঞ্চলে শুল্ক মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির জন্য দেখা দিবে হাহাকার।

আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, পদ্মা ও বড়াল নদীতে ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়াতে হবে। বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রাখার জন্য পদ্মা ব্যারেজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

রাজশাহী জেলা আ’লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন,চারঘাট বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী পদ্মা ও বড়াল নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। খরা মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির অভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষ পুকুর,খাল বিলের পানি ব্যবহার ও খাওয়ার কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হচ্ছে। পদ্মা ও বড়াল নদীর গভীরতা বাড়িয়ে পানি ধরে রেখে বরেন্দ্র অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবী জানান।

এদিকে পদ্মা ও বড়াল নদী এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে পুকুর খাল বিল নালায় পানি সংকটে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষ পরিবেশ বিপযস্তর মধ্যে বসবাস করছে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
রাজশাহী বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে