
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার উদ্যোগে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্বিতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর এলাকার ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির ৪১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিল সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিবেশ, পাশাপাশি নির্বিঘ্ন পরীক্ষা গ্রহণে নেওয়া হয় কঠোর নজরদারি। স্থানীয় শিক্ষক সমাজ একে “শিক্ষা উন্নয়নের মাইলফলক” হিসেবে অভিহিত করেছেন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম।
পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে পৌরসভা নিয়মিত এ ধরনের শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মালেক, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মো. রবিউল ইসলাম, কর নির্ধারক মো. শহীদুল হক মোল্লা, কর আদায়কারী মো. জামাল উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক অজয় কৃষ্ণ পাল, সহকারী কর আদায়কারী রতন চন্দ্র দে, উচ্চমান সহকারী শিলা রানী বড়ুয়া, স্টোরকিপার অজিত কুমার দাস, ইফতেহার আহমেদ, নিম্ন সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো: আসাদুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী দ্বিজেন্দ্র কুমার দাস সহসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবকরা জানান, পৌর প্রশাসক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ স্থানীয় শিক্ষাঙ্গনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করছে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়কে এই কার্যক্রমে যুক্ত করার আহ্বান জানান তারা। তাদের মতে, ছাতক পৌরসভার মেধাবৃত্তি পরীক্ষা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের সূচনা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০২৪ সালে ইউএনও ও পৌর প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা প্রথম চালু করা হয়েছিলো।































