গোটা সিলেট জুড়ে তীব্র গরম ও রোদে পুড়ছে সিলেটবাসী। রোদের তীব্রতায় পুরো সিলেট যেন এক আগুনের চুল্লি, সূর্য যেন দিগন্তে নয়, নেমে এসেছে মাথার ঠিক ওপরে। দিনের দাবদাহ আর তীব্র গরমে হাঁস-ফাঁস হয়ে উঠে গোটা জনপদ। প্রয়োজনের তাগিদে শহরের ব্যস্ত রাস্তা গুলোতে বের হওয়া মানুষ জন পড়েছেন বিপাকে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাসা থেকে বের হন নি। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষজন। মাথার ওপর আগুন ঝরানো রোদ, পায়ের নিচে ফুটন্ত পিচঢালা রাস্তা। এই দুয়ের মাঝে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যান রিকশাচালক, শ্রমিক, পথচারীরা। এ গরম শুধু শরীর নয়, পুড়িয়ে দিচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকাও।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। তবে অনুভুত (ফিলস লাইক) ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকাল থেকে সূর্যের প্রখর খরতাপে পুড়তে থাকে নগরী। প্রচন্ডে রোদে ভোগান্তি পোহান পথচারী ও দিনমজুর। দুপুরের দিকে নগরের রাস্তায় তুলনামুলক কম মানুষ দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলও কিছুটা কম ছিলো।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সজিব হোসাইন জানান, টানা কয়েক দিন ধরে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। এই অবস্থা আরো দুয়েক দিন থাকতে পারে। আর বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতিতে সাধারণত আশ্বিন মাস থেকেই শীতের আমেজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু আশি^নের ১৫ দিন চলে গেলেও শীতের আগমন তো দূরের কথা গরম কমারইস কোনো নামস নেই। উল্টো মনে হচ্ছে চৈত্র-বৈশাখের দাবদাহ চলছে। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পেড়েছে জনজীবন। সেপ্টেম্বও থেকে সিলেটে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। তবে বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কোন কিছুই ঠিক থাকছেনা। তাই সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা হৃাসের তেমন কোন আভাস দিতে পারছেনা খোদ আবহাওয়া অফিস।