১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
পার্বতীপুরে ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেট সহ ৬... ঢাকায় আটক হলেন যশোর আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত চাঁদপুরে ইয়াবা-ফেন্সিডিলসহ যুবক-যুবতী আটক গ্রাহক সেবা পক্ষ উদযাপনে বেতাগীতে বৃক্ষরোপণ ও পুরস্কার...

ধনাগোদা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে বসত বাড়ি সহ ফসলি জমি

  সমকাল নিউজ ২৪

Warning: Use of undefined constant yes - assumed 'yes' (this will throw an Error in a future version of PHP) in /home/samakaln/public_html/wp-content/themes/samakalnews24/template-parts/content.php on line 37

কাজী নজরুল ইসলাম, চাঁদপুরঃ

ধনাগোদা নদীর ভাংগনে হুমকির মুখে চাঁদপুরের  মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাজীর বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকার  বহু ঘর-বাড়ি সহ ফসলি জমি। নদীর সাথে থাকা বাসিন্দাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা মধ্য দিয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধনাগেদা নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে হুমকির মুখে পড়েছে মতলব পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাজিরবাজার লঞ্চঘাটটি। হুমকির মুখে রয়েছে শোভনকর্দী,মুনছবদী ও মোবারকদী এলাকার প্রায় এক হাজার একর ফসিল জমি। এই এলাকায় বিগত ১৫ বছরে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৫ শত একর ফসিল জমি এবং হারিয়েছে শতাধিক ভিটে বাড়ী।

বর্তমানে কাজীর বাজার সংলগ্ন শোভনকর্দী,মুনছবদী, মোবারকদী গ্রামের বসতবাড়ি,৩ টি মসজিদ, ২ টি মাদ্রাসা, ১ টি প্রাইমারি স্কুল ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এখনি ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে ওই এলাকাগুলো। ভাঙন ঠেকাতে সম্প্রতি সন্তোষজনক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ভাঙন রোধে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে এতেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় কৃষক হাজী মোঃ হযরত আলী বলছেন, আমাদের শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমাদের বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে আমাদের ঘরের কাছে চলে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ছাড়া নদী ভাঙন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নদী ভাঙন রোধে অতি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

ওই এলাকার হযরত মাওলানা আব্দুস সালাম ওয়েসী বলেন, আমাদের এখানে গত ৮/১০ দিন পূর্ব থেকে ভাঙনটা বেড়ে গেছে।এখান থেকে নদীর দূরত্ব ছিল প্রায় ৫০০ মিটার।সেই নদী ভাঙতে ভাঙতে ৩০০ মিটারও আর নেই।আমরা এখানে দ্রুত স্থায়ী সমাধান চাই।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সেলিম সাহেদ বলেন, ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়া কাজীর বাজার এলাকাটি গত ৩ দিন পূর্বে পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ভাঙ্গন রোধে বরাদ্দ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
চাঁদপুর বিভাগের সর্বশেষ
চাঁদপুর বিভাগের আলোচিত
ওপরে