মেধাবাী জাহিদ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে কি। দরিদ্র্যতার কারণে সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী জাহিদ। এ নিয়ে তার চোখে-মুখে অন্ধকারের ছাপ। তার ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্ন আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি? হতদরিদ্র পিতার মেধাবী সন্তান জাহিদ উচ্চ শিক্ষাার লক্ষ্যে ভর্তি পরীক্ষায় রাবিতে সি ইউনিট ও হাবিপ্রবিতে বি ডি এফ তিনটি ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করে। কিন্তু সে অর্থাভাবে কোথাও ভর্তি হতে পারছে না।
জানা গেছে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ১নং এলুয়াড়ী ইউপির জগতনাথপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম ও মোছাঃ জয়নাব বিবির মেধাবী সন্তান জাহিদ হাসান। সে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল। সে তার মেধার স্বাক্ষর রাখে শিক্ষাক্ষত্রেও। সে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে চায়। জাহিদ ২০১৬ সালে উত্তর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় হইতে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.৬৭ ও ২০১৮ সালে আমবাড়ী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.৪২ লাভ করে। জাহিদরা দু’ভাই। তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।
তার পিতা দিনমজুর নজরুল ইসলাম জানান, আমার পক্ষে একই সঙ্গে দু’ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা সম্ভবপর নয়। তাই আমার নিবেদন দেশে ও সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে, জাহিদের ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্ন সফল হওয়া সম্ভব। তার মা জয়নাব বিবি জানান, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই-জাহিদ যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে পারে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় রাবিতে সি ইউনিট ও হাবিপ্রবিতে বি ডি এফ তিন টি ইউনিটেই মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছে। সে হাবিপ্রবিতে বি ইউনিটের ত্রিপলিতে ভর্তি হয়ে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে চায়। প্রযোজনে যোগাযোগের মোবাইল নং- ০১৭৭৩২৮০৭৩৮।
মেধাবী ছাত্র জাহিদের এহেন পরিস্থিতে আমবাড়ী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও গভর্নির বডির সদস্যবৃন্দ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।