রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই সপ্তাহ ধরে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহের পর শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে বাইরে বের হলে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে আগুন ঝরছে। একটু বেলা গড়ানোর পরই পথঘাট উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এ কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে যাচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে রোজা রেখে কেউ এমন তাপপ্রবাহের ভেতর বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না।
তবে শ্রমজীবী মানুষকে ঠিকই বৈরী পরিবেশের ভেতর কাজ করতে হচ্ছে।রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আব্দুস সালাম জানান, সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
গত ৪ এপ্রিল থেকে মূলত রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এদিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১১ এপ্রিলও রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টায় রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ১৩ এপ্রিল সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রী ৬ দশমিক সেলসিয়াস। এটি এখন চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে তাপপ্রবাহের সাথে সাথে দুপুর গড়াতেই কমে যাচ্ছে বাতাসের আদ্রতাও। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। রোজা থাকার কারণে কেউ পানি পান করে সেই ঘাটতিও পূরণ করতে পারছেন না। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।