৪ঠা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
খেয়ে না খেয়ে ঝুপড়ি ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তালতলীর... নোয়াখালীতে মানুষের ধারে ধারে ব্যারিস্টার পারভীন... কুয়াকাটায় ধরা পড়ল দুই কেজির ইলিশ তীব্র গরম ও রোদে পুড়ছে সিলেট হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হিরো আলম

চিলমারীতে উন্নয়ন প্রকল্পে নয়ছয়: হাটসেট তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম, এলাকাবাসীর ক্ষোভ!

 আরিফুল ইসলাম,চিলমারী, সমকাল নিউজ ২৪

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচি (এডিপি) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ঠিকাদাররা প্রকল্পের দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্যাকেজ নং এডিপি/চিল/০৭ চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারীর বাজার হাটসেট তৈরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় লক্ষ টাকা।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটসেট নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত ছয় লাখ টাকার কাজ মাত্র ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় দায়সারা ভাবে কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উন্নয়ন প্রকল্প কাজে পুরনো আধলা ইট, নিম্নমানের সিমেন্ট, বালু, খোয়া, বালুসহ রডের বদলে টিনের পাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কাজে তদারকি করার জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা কার্যসহকারী থাকার কথা থাকলেও তাদের পরিবর্তে কাজের তদারকি করছেন এলজিইডি অফিসের দালাল। যার ফলে কাজের মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

ঐ এলাকার বাসিন্দা রিপন বলেন, হাটসেট এ তৃতীয় শ্রেণির ইট ব্যবহার করা দেখে আমি বলতে গেলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং এক পর্যায়ে আমার সাথে হাতাহাতিরও ঘটনা ঘটে। বাজারের ব্যবসায়ী শানু বলেন, সরকার উন্নয়নের জন্য টাকা দিচ্ছে আর এরা নাম মাত্র কাজ করে সব টাকা ভাগ করে নেয়, আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হই।

সাবেক ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম বলেন, কাজ একেবারে নরমালভাবে হচ্ছে, কোন রকম কাজ করলেই যেন বেচে যায় ঠিকাদাররা। এই কাজ নিয়ে অনেক বার এলজিইডিকে বলেছি, তারা এর কোন সুরাহা না করে উল্টো আমাকে বলে আপনি কাজের কি বুঝেন, কাজ সঠিকভাবেই হচ্ছে।

এ দিকে সংশ্লিষ্ট কাজটি ঠিকাদার সেলিম রেজা পাটওয়ারীর কাজ করার কথা থাকলেও তা করানো হচ্ছে ভাড়াটে লোক দিয়ে। সরেজমিনে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মন্টু মিয়াকে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। আমরা ঠিকমত ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়েই কাজ করছি এবং এলজিইডি সেই কাজ বুঝে নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজার রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার অফিসে আসবেন বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
কুড়িগ্রাম বিভাগের আলোচিত
ওপরে