সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপিনাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু মেধাবী শিক্ষার্থী নাদিরা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন এনায়েতপুর থানা ইয়ূথ ফোরাম।
দারিদ্রতাকে জয় করে নাদিরা একের পর এক সাফল্য অর্জন করে আসছে। নাদিরা পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে বিঞ্জান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে নাদিরার পরিবার এখন ক্লান্ত। মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য অর্থ কোথায় পাবে সে চিন্তায় বিভোর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আশা ফিকে হয়ে যায়। আশা ছেড়ে দেন তার পরিবার। সেই সময় তার পাশে এসে সহযোগীতার হাত বাড়ায় এনায়েতপুর থানা ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি জাকারিয়া তৌহিদ তমাল। তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী নাদিরার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এবং সার্বিকভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় এনায়েতপুর থানা ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি জাকারিয়া তৌহিদ তমাল মেধাবী শিক্ষার্থী নাদিরাকে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
প্রায় ১০ বছর পূর্বে তাঁত শ্রমিক বাবাকে হারান নাদিরা। এরপর থেকে তিন বোন এক ভাই ও মাকে নিয়ে ৫ সদস্যের সংসারের উপার্জন করার মতো কেউ না থাকায় তার মায়ের সাথে কাগজ জোরানোর কাজ করেন নাদিরা। মেধাবী হওয়ার কারনে নাদিরার মা শত কষ্টের মাঝেও মেয়ের লেখা পড়া চালিয়ে যান। বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে এ পর্যন্ত লেখা পড়া করে আসছিলেন।
নাদিরা বলেন, আমি এনায়েতপুর থানা ইয়ূথ ফোরামকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সহযোগীতা করার জন্য। আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নাদিরা খুবই মেধাবী এবং খুবই নম্র, ভদ্র একটি মেয়ে। আমি তার জীবনের সার্বিক সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করি।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানা ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি জাকারিয়া তৌহিদ তমাল বলেন, ভবিষ্যতে নাদিরাকে আমাদের ফোরাম থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব, তাকে সহযোগিতা করার জন্য এনায়েতপুর থানা ইয়ূথ ফোরাম সর্বদা প্রস্তুত।





























