৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত চাঁদপুরে ইয়াবা-ফেন্সিডিলসহ যুবক-যুবতী আটক গ্রাহক সেবা পক্ষ উদযাপনে বেতাগীতে বৃক্ষরোপণ ও পুরস্কার... ইসাহাকের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে পীরগঞ্জে বিক্ষোভ ও... পার্বতীপুরে ২৮ শে অক্টোবর লগি-বৈঠার নির্মম নারকীয়...

সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।

 নাজমুল হক নাহিদ,নওগাঁ প্রতিনিধি সমকাল নিউজ ২৪

Warning: Use of undefined constant yes - assumed 'yes' (this will throw an Error in a future version of PHP) in /home/samakaln/public_html/wp-content/themes/samakalnews24/template-parts/content.php on line 37

দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে চোখ জুড়ানো হলুদ সরিষা খেতের ফুলগুলো এখন পরিপক্ক দানায় পরিণত হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে নওগাঁর সাপাহারে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ থেকে সরিষা তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পৌষের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৈলবীজ সরিষা পাকতে শুরু করেছে। এখন চলছে সরিষা কাটার পুরো মৌসুম। চলবে সারা মাস জুড়ে।

 

মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে কৃষক সরিষা পরিপক্ক হয়ে আসছে। অনেক মাঠে কৃষকেরা আগাম জাতের সরিষা কর্তন করতে শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন সরিষা উঠতে শুরু করেছে। ভোজ্যতেলের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার চড়া থাকায় সরিষার ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকগণ। প্রতি মণ ভেজা সরিষা ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। হেক্টর প্রতি দেড় মেট্রিক টন হিসেবে ৪৫০০ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষার আবাদ কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। চলতি মৌসুমের শুরুতে কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এ দুটি অধিক ফলনশীল সরিষা আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। নতুন উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদে আশানুরুপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন উচ্চফলনশীল এই সরিষা আবাদে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ফিরে আসবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

 

সূত্র জানায়, ফলন কমে যাওয়া, উৎপাদনের জন্য বেশি সময় লাগার কারণে দিন দিন এ এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষে উৎসাহ হারাচ্ছিলেন। সাধারণত কৃষকেরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি-৯ ও টোরি-৭ জাতের সরিষার আবাদই বেশি করতেন। কম ফলন ও সময় বেশি লাগায় কৃষকরা সরিষার আবাদ মাত্রারিক্ত কমিয়ে দেন। পাশাপাশি কৃষক বারি ৫ ও ৮ জাতেরও সরিষার আবাদ করছেন। এজাতের সরিষা মাত্র ৭৫-৮০ দিনে ঘরে তোলা যায়। হেক্টরে ফলন হয় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ঐ জমিতেই আবার বোরোর আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
নওগাঁ বিভাগের আলোচিত
ওপরে