ঝালকাঠির রাজাপুর জমি সংক্লান্ত বিরোধের জেরে উপজেলার কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ মাসুদুর রহমানের পৈত্তিক সম্পত্তিতে নির্মানাধীন পাকা ভবন ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেওতা গ্রামের বড় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর উপজেলার কেওতা গ্রামের মৃত মুজাহার আলী হাওলাদারের মেজ ছেলে শিক্ষক মাসুদুর রহমান জানান, তার ছোট ভাই মাহাবুবের নির্ধারন করে দেয়া সিমানার মধ্যে গত শুক্রবার নতুন পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করে নিচের বেইজ থেকে শুরু করে কলামের কাজ শেষ করি হঠাৎ বুধবার সকালে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় এলাকাবাসির কাছে জানতে পারি আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জোসনা ও তার ভাই কবির লোকজন নিয়ে আমার নির্মানাধীন স্থাপনা ভাংচুর করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, মাসুদুর রহমান তার পৈত্তিক সম্পত্তিতে নতুন করে পাকা ভবন নির্মান করতে নিচের বেইজ সহ ভবনের কলম নির্মান করলে তার আপন ছোট ভাই মোঃ মাহবুবর রহমানের স্ত্রী জোসনা ও তার ভাই কবির অজ্ঞাত ৩/৪ বাহিনী সাথে নিয়ে বুধবার সকালে স্থাপনা ভাংচুর করেন। তারা আরো জানায়, ভাই ভাই সম্পত্তি নিয়ে জামেলা থাকলেও তার ছোট ভাই মাহবুব একা মাপজোপ করে সিমানা নির্ধারন করলে তার মধ্যেই মুলত মাসুদুর রহমান ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন। এমনকি ভবন নির্মানের শুরুর দিন মিলাদেও তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাতে আধারে আমার ভাই তার ভবনের নির্মান কাজ চালিয় যাওয়ার কারনে আমার স্ত্রী ও তার ভাই লোকজন সাথে নিয়ে ভাংচুর করে। রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত মঈনউদ্দিন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।